নামজারি করার নিয়ম 2023। নামজারি কিভাবে করবেন? অনলাইন ভূমি সেবা আবেদন। ই নামজারি। নামজারি আবেদন চেক
সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হচ্ছে খতিয়ান। সরকার এ খতিয়ানের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় জমিটি কার কাছে আছে। জমির পরিমান কত জমির খাজনা কত। খতিয়ানের মাধ্যমে সরকার খাজনা আদায় করে থাকে।
মিউটেশন বা নামজারি হচ্ছে জমির মালিকানা পরিবর্তন করা। জমি বিক্রি হলে খতিয়ানে পুরোনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নাম যুক্ত করাই হচ্ছে নামজারি বা মিউটেশন। নামজারির মধ্য দিয়ে জমির আগের জোতজমা থেকে খারিজ বাদ হয়ে আবেদনকারীর নামে নতুন হোল্ডিং বা জোত তৈরী হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নামজারির বা মিউটেশনের জন্য দরখাস্ত করা প্রয়োজন হয়।
কিভাবে আবেদন
করবেন?
জমির নামজারির ক্ষেত্রে ই-নামজারি নিয়ম চালু আছে। এ পদ্ধিতে ডিজিটাল মাধ্যমে নামজারি সম্পন্ন করা হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে ই-নামজারি সম্পন্ন করে। ই-নামজারি করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে কিছু নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে দরখাস্ত করতে হয়। আবেদনের সাথে মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি, মোবাইল নম্বরসহ জমির সকল তথ্য দিতে হয়। বায়া দলিল, দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর, মৌজা, জমির পরিমাণ, জেলা, থানা উল্লেখ করতে হয় এবং দলিলের স্ক্যান কপি আপলোড দিতে হয়। আবেদনের পর সমস্ত কাগজপত্রের এক সেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে জমা দিতে হয়। অনলাইনেই নামজারির ফি জমা দিতে হয়। নামজারি আবেদনটি কোন পর্যায়ে
আছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করা যায়।
নামজারি বা মিউটেশন আবেদনের পর তা যাচাই-বাছাই হয়। নামজারির জন্য আবেদনকৃত জমি দখলে আছে কি না, মামলা–মোকদ্দমা চলছে কি না, এটি খাসজমি কি না, সম্পত্তির মূল পরিমাণ ঠিক আছে কি না, অধিগ্রহণ করা হয়েছে কি না এগুলো যাচাই বাচাই করা হয়। তদন্ত রিপোট পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) যাচাই-বাছাই করে দেখেন। তিনি প্রয়োজন মনে করলে আবারও তদন্তে পাঠাতে পারেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) যাবতীয় কাগজপত্র, দলিল মিলিয়ে দেখে মিউটেশন বা নামজারির জন্য অনুমোদন দেন। অনুমোদন দেওয়ার পর খতিয়ান খোলা হয়। পক্ষগণ শুনানির তারখে হাজির হতে হয়। শুনানিকালে সকল কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর ভিত্তিতে নামজারি বা মিউটেশনের আবেদন মঞ্জুর বা নামঞ্জুর হয়।
No comments:
Post a Comment